নেদারল্যান্ডসে ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। তার ভাষ্যমতে, ইরান “সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করেছে”, তবে সংঘাত এখন শেষের পথে। চলুন বিস্তারিত জেনে নেই এই বিতর্কিত ইস্যুটি সম্পর্কে।
ট্রাম্পের মূল বক্তব্য কী ছিল?
ন্যাটো সম্মেলনের মার্জিনে সাংবাদিকদের সাথে আলোচনায় ট্রাম্প উল্লেখ করেন:
ইরানি বাহিনী “অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে যুদ্ধ করেছে”
তেহরান “কিছুটা হলেও যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে” (যদিও তার মতে “অত্যধিক নয়”)
ইরান ও ইসরায়েল উভয়েই সংঘাত বন্ধ করতে আগ্রহী ছিল
“উভয় পক্ষই যুদ্ধে ক্লান্ত” বলে তিনি মনে করেন
কেন ট্রাম্প নিশ্চিত সংঘাত শেষ?
সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন:
“আমি উভয় পক্ষের সাথেই কাজ করেছি। তারা উভয়েই পরিশ্রান্ত, যুদ্ধে ক্লান্ত। তারা অত্যন্ত নিষ্ঠুর ও হিংস্রভাবে লড়াই করেছে, কিন্তু এখন উভয়েই বাড়ি ফিরে যেতে পেরে সন্তুষ্ট।”
আলোচনার সম্ভাবনা কতটা?
ট্রাম্পের বক্তব্যে উঠে এসেছে কূটনৈতিক সমাধানের ইঙ্গিত:
আগামী সপ্তাহে ইরান-মার্কিন আলোচনার সম্ভাবনা
নতুন চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে অনিশ্চয়তা (“হয়তো চুক্তি হতে পারে, নাও হতে পারে”)
বর্তমান উত্তেজনা কমানোর উপর জোর
বিশ্লেষকদের প্রতিক্রিয়া
মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞদের মতে:
ট্রাম্পের এই বক্তব্য ইরানের সামরিক শক্তি স্বীকার করার শামিল
যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য নতুন উদ্বেগ
সরাসরি আলোচনার ঘোষণা আশাবাদী হলেও বাস্তবায়ন কঠিন
ইরানের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া
এখন পর্যন্ত ইরান সরকারের পক্ষ থেকে ট্রাম্পের এসব মন্তব্যের উপর আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে গত কয়েকদিনে:
ইরানি কর্মকর্তারা যেকোনো আগ্রাসনের জবাব দেয়ার হুমকি দিয়েছেন
পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে পশ্চিমাদের সাথে তীব্র মতবিরোধ চলছে
অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা মোকাবেলায় তেহরান নতুন কৌশল নিচ্ছে
পাঠকদের জন্য প্রশ্ন
আপনার কী মনে হয়?
ইরান-মার্কিন আলোচনা সত্যিই শান্তি আনতে পারবে?
ট্রাম্পের এই বক্তব্য মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিকে কীভাবে প্রভাবিত করবে?
এই সংঘাতের সমাধান কোন পথে যেতে পারে?
মন্তব্য বিভাগে আপনার মতামত জানান। নীতিমালা মেনে সবার সাথে শালীনভাবে আলোচনায় অংশ নিন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হলো ‘গুগল পে’ – ডিজিটাল পেমেন্টে নতুন বিপ্লব