বরিশালে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ ও ভিডিও করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের এক সাব-ইনস্পেক্টর (এসআই) এর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি নিয়ে সমাজে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, এবং আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতনের মতো জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আদালত দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
ঘটনার বিস্তারিত
মামলার বর্ণনা অনুযায়ী, আসামি এসআই রাজিব হোসেন ঝালকাঠি সদর উপজেলার বাসিন্দা এবং বর্তমানে ঢাকার যাত্রীবাড়ী থানায় কর্মরত। অভিযোগ রয়েছে, তিনি ভোলার বোরহানউদ্দিন থানায় কর্মকালীন সময়ে ওই গৃহবধূর সাথে পরিচিত হন। গৃহবধূর দুটি সন্তান রয়েছে এবং তিনি সাবেক স্বামী থেকে আলাদা থাকেন।
২০২৪ সালের ২২ এপ্রিল বরিশাল নগরীর একটি আবাসিক হোটেলে তাকে ধর্ষণ করা হয় এবং সেই সময় ভিডিও ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে এই ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে এসআই রাজিব তাকে ভোলায় নিজ বাসায় নিয়ে গিয়ে আবারও ধর্ষণ করেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
আইনি পদক্ষেপ ও আসামির বক্তব্য
এ ঘটনায় গৃহবধূ প্রথমে ভোলা পুলিশ সুপারের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। পরে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয় এবং এখন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিচারক মুহাম্মদ রকিবুল ইসলাম সিআইডিকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
অন্যদিকে, আসামি এসআই রাজিব হোসেন অভিযোগকে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন। তার ভাষ্য, “এই মামলা আমার বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র মাত্র। আমাকে হয়রানি করার জন্যই এ মামলা করা হয়েছে।”
সমাজে নারী নির্যাতন ও আইনের শাসন
এ ধরনের ঘটনা নারী নির্যাতনের চিত্রকে আরও ভয়াবহভাবে তুলে ধরে। একজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এমন জঘন্য অভিযোগ সমাজে আস্থার সংকট তৈরি করেছে। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে দ্রুত ও স্বচ্ছ তদন্ত জরুরি।
কী করা উচিত?
- নারী নির্যাতনের শিকার হলে অবিলম্বে স্থানীয় থানায় অভিযোগ করুন।
- জাতীয় হেল্পলাইন ১০৯ বা ৯৯৯ এ কল করে জরুরি সহায়তা নিন।
- সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে সবার এগিয়ে আসা প্রয়োজন।
এই মামলার পরিণতি কী হবে, তা সবারই লক্ষ্য। আশা করা যায়, দোষী ব্যক্তি কঠোর শাস্তি পাবে এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীকে আবার তুলে নেওয়ার অভিযোগ
#নারী_নির্যাতন_বন্ধ_করুন #ন্যায়বিচার_চাই