ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা চরমে। সাম্প্রতিক কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার জের ধরে দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার দাবি করেছেন, ভারত আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে সামরিক হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে।
কাশ্মীর হামলার জবাবে ভারতের প্রস্তুতি
গত ২২ এপ্রিল, জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে এক ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হন। ভারতের সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনী দাবি করেছে, এই হামলার পেছনে পাকিস্তান-সমর্থিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী জড়িত। এর জবাবে ভারতীয় সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে “পূর্ণ স্বাধীনতা” দিয়েছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার রাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডাকেন, যেখানে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, তিন বাহিনীর প্রধান এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল উপস্থিত ছিলেন। সূত্রে জানা যায়, এই বৈঠকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর সামরিক পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া: “যেকোনো হামলার জবাব দেওয়া হবে”
পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার সাংবাদিকদের বলেন, “ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নিতে চাইছে। আমাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য আছে যে আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে হামলা হতে পারে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “পাকিস্তান কখনোই সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে না। আমরা নিজেরাই সন্ত্রাসবাদের শিকার। ভারত যদি কোনো অযৌক্তিক সামরিক পদক্ষেপ নেয়, তাহলে এর জবাব দৃঢ়ভাবে দেওয়া হবে।”
পাকিস্তান সরকার একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে, কিন্তু ভারত তা প্রত্যাখ্যান করেছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা কী?
পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়ে বলেন, “ভারতের এই বেপরোয়া সিদ্ধান্ত পুরো দক্ষিণ এশিয়ার জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। উত্তেজনা বাড়ার দায়ভার সম্পূর্ণ ভারতের উপর বর্তাবে।”
যুদ্ধ হলে কী হবে?
ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। যদি এই উত্তেজনা যুদ্ধে রূপ নেয়, তাহলে পুরো অঞ্চল একটি ভয়াবহ সংকটে পড়তে পারে। গত কয়েক দশকে দুই দেশের মধ্যে একাধিক যুদ্ধ ও সীমান্ত সংঘর্ষ হয়েছে, কিন্তু এবারের পরিস্থিতি অত্যন্ত সংবেদনশীল।
সর্বশেষ অবস্থা
ভারতীয় সেনাবাহিনী সীমান্তে সতর্কতা জারি করেছে।
পাকিস্তানও তার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করেছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এই উত্তেজনা কমানোর জন্য দুই পক্ষকে সংযত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।
মন্তব্য
এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আশা করা যায়, দুই দেশই কূটনৈতিক সমাধানের পথ বেছে নেবে এবং যেকোনো অস্থিতিশীলতা এড়িয়ে চলবে।
আরও পড়ুন: সম্পত্তির লোভে লাশ আটকে রাখার মর্মান্তিক ঘটনা!
আপনার মতামত জানান নিচের কমেন্ট বক্সে!