বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রত্যাবর্তনে নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির দেওয়া বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে মঙ্গলবার দেশে ফিরছেন। বিএনপির মিডিয়া উইং থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
ফ্লাইট শিডিউল ও ফেরার সময়
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল যে খালেদা জিয়া সোমবার দেশে ফিরবেন। তবে সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, তিনি লন্ডন থেকে সোমবার রওনা হয়ে মঙ্গলবার ঢাকায় পৌঁছাবেন। বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাঁর ফ্লাইটের সঠিক সময় পরে জানানো হবে।
কাতারের আমিরের বিশেষ সহযোগিতা
গত জানুয়ারিতে খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থতার কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি তাঁর শারীরিক অবস্থা জানার পর নিজস্ব রাষ্ট্রীয় বিমান (রয়্যাল অ্যাম্বুলেন্স) দিয়ে তাঁকে লন্ডনে পাঠান। এবারও একই বিমানে তিনি দেশে ফিরছেন।
নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি ও অভ্যর্থনা পরিকল্পনা
খালেদা জিয়ার দেশে ফেরাকে ঘিরে বিএনপির নেতাকর্মীরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, শৃঙ্খলার সঙ্গে নেতা-কর্মীরা তাঁকে স্বাগত জানাবেন।
তিনি বলেন, “আমাদের নেতা-কর্মীরা আবেগপ্রবণ, তবে আমরা শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে রাস্তার দু’ধারে দাঁড়িয়ে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাবো।”
চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরা
খালেদা জিয়া গত চার মাস ধরে লন্ডনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁর স্বাস্থ্যের উন্নতি হলে এবার দেশে ফিরছেন। বিএনপির নেতৃত্ব আশা প্রকাশ করেছেন যে, তাঁর প্রত্যাবর্তন দলের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন, যাদের মধ্যে যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক প্রমুখ উল্লেখযোগ্য।
সাম্প্রতিক তথ্য ও আপডেট
বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, খালেদা জিয়ার ফ্লাইটের বিস্তারিত তথ্য শীঘ্রই জানানো হবে। নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে শান্তিপূর্ণভাবে তাঁকে স্বাগত জানানোর জন্য।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে শৃঙ্খলার আহ্বান ফখরুলের
মন্তব্য:
খালেদা জিয়ার দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন গতির সঞ্চার হতে পারে। বিএনপির পক্ষ থেকে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হলেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেমন হবে, তা এখন দেখার বিষয়।