এক নৃশংস অপরাধের বিচার প্রক্রিয়া শেষে রায়ের অপেক্ষা
মাগুরার আলোচিত শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসান মামলার রায় ঘোষণার জন্য ১৭ মে তারিখ নির্ধারণ করেছেন। গত ১৩ মে মামলার চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক শেষে এই তারিখ ঘোষণা করা হয়।
মামলার সংক্ষিপ্ত পটভূমি
৮ বছরের শিশু আছিয়া মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রামের বাসিন্দা ছিল। সে তার বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল, সেখানেই এক নারকীয় ঘটনার শিকার হয়। তাকে নির্মমভাবে ধর্ষণ করা হয় এবং গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতাল, পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালে তার মৃত্যু হয়।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও স্বীকারোক্তি
মামলার মূল আসামি হিটু শেখ, যিনি আছিয়ার বোনের শ্বশুর, তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তিনি ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার দায় স্বীকার করলেও তদন্তে আরও তিনজনের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তা মাগুরা সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া ও রায়ের অপেক্ষা
এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া অত্যন্ত দ্রুতগতিতে সম্পন্ন হয়েছে। অভিযোগ গঠনের মাত্র ২১ দিনের মধ্যে যুক্তিতর্ক শেষ করে রায়ের দিন ঘোষণা করা হয়েছে। এটি নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচারের একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ।
সমাজের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা
শিশু আছিয়ার মৃত্যু শুধু একটি পরিবারকে শোকস্তব্ধ করেনি, গোটা দেশকে নাড়া দিয়েছে। এই মামলার রায় শিশু নির্যাতন ও নারী সহিংসতার বিরুদ্ধে শক্তিশালী বার্তা দেবে। আশা করা যায়, বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে দোষীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত হবে, যা ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখবে।
পরবর্তী পদক্ষেপ
১৭ মে রায় ঘোষণার পর আইনের কঠোর প্রয়োগ হবে কি না, তা দেখার বিষয়। এই মামলার ফলাফল সমাজে ন্যায়বিচারের প্রতি আস্থা বাড়াবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি।
আরও পড়ুন: ডুমুরিয়ায় বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ: নারী উদ্যোক্তার করুন কাহিনী
আপনার মতামত জানান: শিশু নির্যাতন ও ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের বিচার প্রক্রিয়া কতটুকু ন্যায়সঙ্গত বলে আপনি মনে করেন? মন্তব্যে শেয়ার করুন।