ভয়াবহ ঘটনায় শোকস্তব্ধ নাগরপুর
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে এক মর্মান্তিক ধর্ষণের ঘটনায় স্থানীয়রা হতবাক। মাত্র ১৩ বছর বয়সী এক কন্যাশিশু তারই প্রতিবেশী “চাচা” নামে পরিচিত এক ব্যক্তির হাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। আরও ভয়াবহ বিষয় হলো, এই নৃশংস ঘটনার পর শিশুটির ৬ মাসের গর্ভধারণ ধরা পড়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে নাগরপুর থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কী ঘটেছিল?
ভুক্তভোগী পরিবারের বর্ণনা অনুযায়ী, তারা অত্যন্ত দরিদ্র। দিনমজুরি করে কোনোমতে সংসার চলে। কিছুদিন ধরে মেয়েটির শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন লক্ষ করে পরিবার তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায়, সে ৬ মাসের গর্ভবতী।
পরিবারের চাপায় মেয়েটি জানায়, তাদের প্রতিবেশী ফরহাদ (ডাকনাম চাচা) তাকে বারবার ধর্ষণ করেছে। ভয় দেখিয়ে ও হুমকি দিয়ে ঘটনা গোপন রাখতে বাধ্য করেছিল সে।
নির্যাতিত শিশুটির পরিবার কী চায়?
মেয়েটির মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “আমরা গরিব মানুষ, কিন্তু মেয়ের ইজ্জতের দাম দিতে হবে। ধর্ষকের কঠোর শাস্তি চাই। আমরা ন্যায়বিচার চাই।”
পুলিশের পদক্ষেপ
নাগরপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম ঘটনাটি নিশ্চিত করে জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরই মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামি ফরহাদকে গ্রেফতারের জন্য তদন্ত ও অভিযান চলমান রয়েছে। তিনি বলেন, “আসামি যেই হোক, আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।”
সমাজের করণীয়
এ ধরনের ঘটনা শুধু একটি পরিবারকে না, গোটা সমাজকে কলঙ্কিত করে। শিশু ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়ানো জরুরি। পাশাপাশি, দরিদ্র ও অসহায় পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
কীভাবে সাহায্য করতে পারেন?
আশেপাশের শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।
সন্দেহজনক কোনো আচরণ দেখলে স্থানীয় প্রশাসন বা শিশু অধিকার সংস্থাকে জানান।
ভুক্তভোগী পরিবারকে মানসিক ও আইনি সহায়তা দিতে এগিয়ে আসুন।
শেষ কথা
এই নির্মম ঘটনা আমাদের সমাজের অন্ধকার দিককে আবারও উন্মোচন করেছে। শিশুদের নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা উচিত। আশা করি, ধর্ষক দ্রুত গ্রেফতার হবে এবং আইনের কঠোর হাতে তার শাস্তি নিশ্চিত হবে।
আরও পড়ুন: আছিয়া হত্যায় হিটু শেখের মৃত্যুদণ্ড, বাকিদের খালাস – রায়ে অসন্তুষ্ট আছিয়ার পরিবার
#শিশু_সুরক্ষা #ধর্ষণের_বিচার #টাঙ্গাইল_ঘটনা