শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ “স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা স্থাপন, পাঠদান, স্বীকৃতি, পরিচালনা ও জনবল কাঠামো এবং এমপিও নীতিমালা, ২০২৫” জারি করেছে। এই নীতিমালা ২০১৮ সালের পুরনো নীতিকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করে প্রণয়ন করা হয়েছে। নতুন এই নীতিমালায় স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলোর এমপিওভুক্তি, শিক্ষকদের বেতন-ভাতা, এবং প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নতুন নীতিমালার প্রধান বৈশিষ্ট্য
১. এমপিওভুক্তির সুযোগ
নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলো সরকারি স্বীকৃতি পেলে এমপিওভুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবে। এতে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা সরকারি কোষাগার থেকে প্রদান করা হবে, যা বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সমতুল্য হবে।
২. নতুন মাদ্রাসা স্থাপনের সুযোগ
এই নীতিমালায় নতুন ইবতেদায়ি মাদ্রাসা স্থাপনেরও সুযোগ রাখা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে অবশ্যই সরকারি নির্দেশিকা মেনে পাঠদান ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
৩. শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি
বর্তমানে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকরা ৩,৫০০ টাকা এবং সহকারী শিক্ষকরা ৩,৩০০ টাকা মাসিক অনুদান পান। নতুন নীতিমালা কার্যকর হলে, তারা বেসরকারি স্কুলের মতোই এমপিও স্কেলে বেতন ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন।
৪. স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা
নতুন নীতিমালায় মাদ্রাসাগুলোর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন শর্ত যুক্ত করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়মিত মনিটরিং করা হবে এবং মানবিক মূল্যবোধ ও ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক শিক্ষার সমন্বয় নিশ্চিত করতে হবে।
কেন এই নীতিমালা গুরুত্বপূর্ণ?
২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার জন্য নীতিমালা প্রণয়ন করা হলেও, তা পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। নতুন এই নীতিমালা শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণে সহায়ক হবে এবং মাদ্রাসা শিক্ষার মানোন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।
কোথায় পাওয়া যাবে নীতিমালার বিস্তারিত?
নীতিমালাটির পূর্ণাঙ্গ বিবরণ কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। আগ্রহীরা সেখানে গিয়ে বিস্তারিত দেখতে পারবেন।
আরও পড়ুন: এইচএসসি পরীক্ষা শুরু: শিক্ষার্থীদের জন্য ১০টি অপরিহার্য নির্দেশনা