বরিশালের বাকেরগঞ্জে এক গৃহবধূ নির্মমভাবে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে, তবে এখনও অন্য আসামিদের খুঁজছে। ঘটনাটি স্থানীয়দের মধ্যে রীতিমতো আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গৃহবধূ লাকি আক্তার (ছদ্মনাম) বুধবার (৭ মে) তার ফুফাশ্বশুরের বাড়িতে বেড়াতে যান। সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার সময় স্বাধীন খান ও নাজমুল খান তাকে বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে একটি নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে যান। সেখানে তারা জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে।
এরপর তারা একজন অটোরিকশাচালককে ডেকে আনে এবং সেও এই নারীর ওপর নির্যাতন চালায়। রাতেই লাকি তার স্বামীকে ঘটনাটি জানান এবং থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপ
বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযোগ পেয়ে তৎপর হয়ে ওঠে। বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকালে তারা স্বাধীন খান ও নাজমুল খানকে গ্রেফতার করে। তবে অটোরিকশাচালকসহ বাকি আসামিদের খোঁজ চলছে।
বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার পরই আমরা অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেফতার করেছি। বাকি আসামিদেরও শিগগিরই আটক করা হবে।”
সমাজে নারী নিরাপত্তার প্রশ্ন
এ ধরনের ঘটনা আমাদের সমাজে নারী নিরাপত্তার বিষয়টি আবারও প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। নারীদের প্রতি সহিংসতা রোধে কঠোর আইন প্রয়োগ ও সামাজিক সচেতনতা জরুরি।
কী করা উচিত?
নারীদের নিরাপদ যাতায়াতের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
এমন ঘটনায় দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
সমাজের সকল স্তরে নারী অধিকার ও নিরাপত্তা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
শেষ কথা
এই ঘটনা আমাদেরকে আবারও মনে করিয়ে দেয় যে, নারী নিরাপত্তা এখনও একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আশা করা যায়, দোষীদের দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা হবে।
আরও পড়ুন: নিরীহ কিশোরীর ওপর নির্মম ধর্ষণ: সমাজের নীরবতা কি অপরাধকে প্রশ্রয় দিচ্ছে?
আপনার কী মতামত? নারী নিরাপত্তা নিয়ে আপনার পরামর্শ জানাতে কমেন্ট করুন।