ভয়াবহ অপরাধে জড়িত অভিযুক্ত
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা উপজেলায় এক গৃহকর্মী কিশোরীকে দীর্ঘদিন ধর্ষণের অভিযোগে এক বাবা ও তার ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চরিয়া কান্দি পাড়া গ্রামের জোদু ফকিরের ছেলে জোমসের ফকির (৬৫) এবং তার ছেলে আনারুল ইসলাম (৩৫) ওরফে মুক্তা ফকির এই নৃশংস অপরাধে জড়িত।
কী ঘটেছিল?
১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরী সাড়ে ছয় বছর ধরে অভিযুক্তদের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করতেন। অভিযোগ রয়েছে, বাবা-ছেলে নিয়মিত তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন। বিষয়টি দীর্ঘদিন গোপন রাখা হলেও সম্প্রতি কিশোরী দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।
মামলা ও গ্রেফতার
ঘটনাটি প্রকাশ পেলে ভুক্তভোগীর মা স্থানীয় থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযুক্ত জোমসের ও মুক্তাকে তাদের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোখলেসুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সমাজে নারী নির্যাতনের চিত্র
এ ধরনের ঘটনা শুধু একটি পরিবারকে নয়, সমাজের নৈতিক অবক্ষয়কেই তুলে ধরে। গৃহকর্মী, বিশেষত অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েরা, প্রায়ই নির্যাতনের শিকার হন। অনেক ক্ষেত্রে ভয় ও সামাজিক চাপের কারণে তারা মুখ খুলতে পারে না। এই ঘটনা আমাদের সবার জন্য একটি বড় প্রশ্ন রেখে যায়—নারী ও শিশু নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা কতটা সচেতন?
আইনি ব্যবস্থা ও সচেতনতা
বাংলাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর আইন থাকলেও এর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে আরও জোরদার পদক্ষেপ প্রয়োজন। পাশাপাশি, সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে যাতে কোনো নির্যাতিত ব্যক্তি ন্যায়বিচার পেতে দ্বিধা না করেন।
শেষ কথা
এই ঘটনা আমাদের সবার মনে একটি গভীর দাগ কেটে যায়। শুধু আইন দিয়ে নয়, সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি বদলিয়ে নারী ও শিশুদের নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। আশা করা যায়, দোষীদের কঠোর শাস্তি হবে এবং ভুক্তভোগী ন্যায়বিচার পাবেন।
আরও পড়ুন: বরগুনায় কিশোরী ধর্ষণ: পুলিশের মামলা না নেওয়ার অভিযোগ
#নারীনির্যাতন #শিশুঅধিকার #সিরাজগঞ্জ #ধর্ষণেরবিরুদ্ধে