ইসরাইল বর্তমানে ভয়াবহ দাবানলের মুখোমুখি। তেল আবিব থেকে জেরুজালেমগামী ব্যস্ততম মহাসড়ক রুট-১ পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে আগুন। প্রতিবেশী দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছ থেকে জরুরি সাহায্য চেয়েছে ইসরাইল, কিন্তু এখনও তা পৌঁছায়নি। ফলে সীমিত সম্পদ নিয়ে দাবানল মোকাবিলা করছে দেশটির দমকল বাহিনী।
দাবানলের বিস্তার ও বর্তমান অবস্থা
তীব্র গরম ও শুষ্ক আবহাওয়ায় দাবানল দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বন্ধ করা হয়েছে রুট-১ হাইওয়ে, সরিয়ে নেওয়া হয়েছে আশেপাশের বাসিন্দাদের। ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১১৯ জন দমকল কর্মী, ১০টি অগ্নিনির্বাপণ বিমান ও একটি হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও, ইসরাইলি বিমানবাহিনী ও উদ্ধারকারী দল ৬৬৯ নজরদারিতে সহায়তা করছে।
এ পর্যন্ত ধোঁয়ায় আটকে পড়া গাড়ি থেকে ৯ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। কমপক্ষে ৩টি গাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কর্তৃপক্ষ জনগণকে বিপদজনক এলাকা এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছে।
আন্তর্জাতিক সাহায্য: প্রতিশ্রুতি বনাম বাস্তবতা
ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিয়ন সা’আর বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন। গ্রিস, ক্রোয়েশিয়া, ইতালি, সাইপ্রাস, স্পেন, ফ্রান্স ও ইউক্রেন সাহায্যের আশ্বাস দিলেও, তা পৌঁছাতে আরও সময় লাগবে বলে জানা গেছে।
ক্রোয়েশিয়া ১১ সদস্যের একটি দলসহ সিএল-৪১৫ অগ্নিনির্বাপণ বিমান পাঠাচ্ছে।
সাইপ্রাস সবচেয়ে আগে সাহায্য পাঠাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ইতালি ও ক্রোয়েশিয়া থেকে ৩টি কানাডায়ার বিমান আসবে।
স্পেন, ফ্রান্স ও ইউক্রেন বিমান ও বিশেষজ্ঞ প্রেরণের ঘোষণা দিয়েছে।
তবে, দাবানল দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় সাহায্য পৌঁছাতে বিলম্ব হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।
দাবানলের কারণ ও ভবিষ্যৎ ঝুঁকি
বিশেষজ্ঞরা দাবানলের প্রসারের জন্য নিম্নলিখিত কারণগুলো চিহ্নিত করেছেন:
তীব্র গরম ও শুষ্ক আবহাওয়া
প্রবল বাতাস যা আগুনকে দ্রুত ছড়িয়ে দিচ্ছে
স্থানীয় অগ্নিনির্বাপণ সক্ষমতার সীমাবদ্ধতা
যদি বাতাসের গতি আরও বাড়ে, তাহলে আবাসিক এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারে, যা বাড়াবে human cost.
কীভাবে সাহায্য করা যায়?
আন্তর্জাতিক সাহায্য আসার আগ পর্যন্ত স্থানীয়ভাবে সহায়তা করার কিছু উপায়:
দুর্যোগ ত্রাণ তহবিলে অর্থ দান
অগ্নিনির্বাপণ সচেতনতা বাড়ানো
এনজিও ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে সমর্থন করা
শেষ কথা
ইসরাইলের এই দাবানল জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহতারই ইঙ্গিত দেয়। আন্তর্জাতিক সাহায্য আসা পর্যন্ত স্থানীয় বাহিনীর সাহসী প্রচেষ্টাই একমাত্র ভরসা। আগামী কয়েক ঘণ্টাই নির্ধারণ করবে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে নাকি আরও বিস্তৃত হবে।