খুলনার রূপসা স্ট্যান্ড রোডে এক কলেজ ছাত্রীর ওপর সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মর্মান্তিক ঘটনায় স্থানীয়রা স্তম্ভিত। এই নৃশংস ঘটনায় তিনজন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি গতকাল সোমবার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ঘটলেও অভিযুক্তদের মধ্যে একজন এখনও ফাঁড়া কাটিয়ে বেরিয়ে আছে। ভুক্তভোগী তরুণী শারীরিক ও মানসিকভাবে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সূত্রে জানা যায়, জ্যোতি নামের এক যুবক তার বন্ধু হুমায়ুন কবির ও মোস্তাফিজুর রহমান রানার সহায়তায় ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। ঘটনাস্থল রূপসা স্ট্যান্ড রোডের একটি ভাড়াবাড়ি।
ভুক্তভোগী তরুণী জানান, জ্যোতি তাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তার দুই বন্ধুও তাকে ধর্ষণে অংশ নেয়। পরে তিনি জ্যোতির স্ত্রীর কাছেও সহায়তা চাইলে, তার স্ত্রী তাকে মারধর করে রক্তাক্ত করে দেয়।
পুলিশের তৎপরতা ও গ্রেপ্তার
খুলনা সদর থানার ওসি হাওলাদার সানওয়ার হুসাইন মাসুম জানান, ভুক্তভোগীর অভিযোগের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে হুমায়ুন কবির ও মোস্তাফিজুর রহমান রানাকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে মূল অভিযুক্ত জ্যোতি এখনও পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে আছে।
সমাজে নারীর নিরাপত্তা প্রশ্নে উদ্বেগ
এ ধরনের ঘটনা সমাজে নারীর নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর পদক্ষেপ ও দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি।
আইনি প্রক্রিয়া ও ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে দ্রুত অভিযোগ দায়ের করা হবে। ভুক্তভোগী তরুণীকে যথাযথ মেডিকেল ও আইনি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
উপসংহার
এ ধরনের জঘন্য অপরাধ সমাজের মৌলিক চেতনাকে ধ্বংস করে। আশা করা যায়, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করে ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: সাভারে বাঁশঝাড়ে অর্ধনগ্ন নারীর মরদেহ: পুলিশের ধারণা ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ড
#খুলনা #ধর্ষণ #অপরাধ #ন্যায়বিচার #পুলিশ