একটি পৈশাচিক ঘটনায় স্তম্ভিত করেছে সমাজ। নিজেরই কন্যাসন্তানকে ধর্ষণের অভিযোগে এক পিতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নৃশংস এই ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায়।
ঘটনার বিবরণ
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি সুজন প্রধান (৩৬) দাউদকান্দির বিটেশ্বর ইউনিয়নের নৈয়াইর গ্রামের বাসিন্দা। তার ১৪ বছর বয়সী মেয়ে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় সপ্তম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। অভিযোগ অনুযায়ী, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বিকালে মেয়েটির মা তাকে বাসায় রেখে আত্মীয়ের বাড়িতে যান। সন্ধ্যায় সুজন প্রধান মেয়ের মুখ চেপে ধরে পাশবিক নির্যাতন চালায় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
কয়েকদিন পর মেয়েটি এই ভয়াবহ ঘটনা পরিবার ও আত্মীয়স্বজনদের জানায়। বিষয়টি সামাজিকভাবে নিষ্পত্তির চেষ্টা করা হলেও ন্যায়বিচার না পেয়ে শেষ পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দায়ের করে মা-মেয়ে।
পুলিশের তৎপরতা ও গ্রেপ্তার
দাউদকান্দি মডেল থানার তদন্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ সামছুল আলম জানান, মেয়েটি ও তার মা থানায় অভিযোগ দায়ের করার পরই রাতেই অভিযান চালিয়ে সুজন প্রধানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি এই অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছেন।
গ্রেপ্তারের পর তাকে আদালতে হাজির করা হয় এবং শুক্রবার তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ মামলাটির তদন্ত জোরদার করেছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন।
সমাজের অন্ধকার দিক: প্রতিকার ও সচেতনতা
এ ধরনের ঘটনা শুধু একটি পরিবারই নয়, পুরো সমাজকে কলঙ্কিত করে। শিশু ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর আইন থাকলেও এমন অপরাধ এখনও সমাজের অন্ধকার কোণে ঘটে চলেছে। পরিবার ও সমাজের সচেতনতা, আইনের সঠিক প্রয়োগ এবং দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা জরুরি।
কী করা উচিত?
শিশুদের সঙ্গে সৎ ও খোলামেলা সম্পর্ক গড়ে তোলা।
কোনো অস্বাভাবিক আচরণ দেখা দিলে তা অবহেলা না করে মনোযোগ দেওয়া।
নির্যাতনের শিকার হলে অবশ্যই আইনি সহায়তা নেওয়া।
সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধিতে স্থানীয়ভাবে আলোচনা ও কর্মশালার আয়োজন করা।
শেষ কথা
এমন নৃশংস ঘটনা আমাদের ব্যথিত করে। শুধু আইন নয়, নৈতিক শিক্ষা ও মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করেই এই অপরাধ রোধ করা সম্ভব। আশা করা যায়, ভুক্তভোগী পরিবার দ্রুত ন্যায়বিচার পাবে এবং অপরাধী তার প্রাপ্য শাস্তি পাবে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে কিশোরী ধর্ষণ: নৃশংস ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
#নারী_নির্যাতন_বন্ধ_করুন #শিশু_সুরক্ষা #সমাজের_অন্ধকার_দিক