শ্রমিক নারীর উপর নৃশংস হামলা
যশোর সদর উপজেলার একটি ইটভাটায় এক নারী শ্রমিককে ধর্ষণের মর্মান্তিক ঘটনায় দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) ভোররাতে সংঘটিত এই ঘটনায় স্থানীয়ভাবে ত্রাস সৃষ্টিকারী দুই ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
ঘটনার বিস্তারিত
ভুক্তভোগী নারী শ্রমিক গত কয়েক মাস ধরে ওই ইটভাটায় কাজ করছিলেন। তিনি স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে ভাটার কুঁড়েঘরে বসবাস করতেন। অভিযুক্তদের মধ্যে আকরাম হোসেন এলাকার কুখ্যাত বখাটে হিসেবে পরিচিত, অন্যজন রাব্বি হোসেন একই ইটভাটার ট্রাকচালক। কাজের সূত্রে তাদের সঙ্গে ভুক্তভোগীর পরিচয় ছিল।
ঘটনার দিন ভোর চারটার দিকে নারী শ্রমিক ভাটার পুকুরে গোসল করতে যান। গোসল শেষে ফেরার পথে আকরাম তাকে পেছন থেকে ঘাড়ে চেপে ধরে ইট তৈরির পটের মধ্যে টেনে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে নির্মমভাবে ধর্ষণ করা হয়। এ সময় রাব্বি হোসেন সহযোগিতা করে এবং ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্রুত পদক্ষেপ
ধর্ষণের শিকার নারী ও তার স্বামী ভাটার মালিককে ঘটনাটি জানান। তাদের সহায়তায় যশোর কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ অভিযুক্তদের বাড়ি থেকে তাৎক্ষণিকভাবে আটক করে।
কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তাপস কুমার পাল জানান, অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে হাজির করা হয়েছে। আদালত তাদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
সমাজে নারী নিরাপত্তার প্রশ্ন
এ ধরনের ঘটনা সমাজে নারী নিরাপত্তা ও শ্রমিক অধিকারের বিষয়টি আবারও প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। বিশেষ করে ইটভাটাগুলোতে নারী শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর পদক্ষেপের প্রয়োজন। স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারি এবং দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি।
সচেতনতা ও প্রতিরোধের উপায়
নারী শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কর্মক্ষেত্রে পর্যাপ্ত আলো ও নিরাপত্তা ক্যামেরা স্থাপন করা।
স্থানীয় প্রশাসনের নিয়মিত মনিটরিং জোরদার করা।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সাধারণ মানুষের যোগাযোগ বাড়ানো।
ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করা।
এই ঘটনা আমাদের সবার জন্য একটি বড় শিক্ষা। নারী নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সমাজ ও রাষ্ট্রকে একসাথে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় শিশু আছিয়া ধর্ষণ-হত্যা মামলার বিচার শুরু: ন্যায়বিচারের প্রত্যাশা
#নারীনিরাপত্তা #ধর্ষণেরবিরুদ্ধে #ন্যায়বিচার #যশোর