ভারতীয় চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন জগতে একাধিক ভাষায় নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে গেছেন অভিনেতা মুকুল দেব। কিন্তু মাত্র ৫৪ বছর বয়সেই তিনি চলে গেলেন না ফেরার দেশে। শুক্রবার (তারিখ) রাতে দিল্লিতে তার মৃত্যু হয়। এই মর্মান্তিক খবর প্রথম সামাজিক মাধ্যমেই প্রকাশ করেন তার সহকর্মী ও বন্ধুরা।
মৃত্যুর খবর কীভাবে ছড়াল?
অভিনেতা মনোজ বাজপেয়ী এবং অভিনেত্রী দীপশিখা নাগপালের মতো শিল্পীরা মুকুল দেবের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। দীপশিখা ইনস্টাগ্রামে একটি পুরনো ছবি শেয়ার করে ক্যাপশন দেন, “রিপ… মাত্র ৫৪ বছর বয়সে চলে গেলে বন্ধু! এটা কীভাবে সম্ভব? আমি বিশ্বাসই করতে পারছি না, মুকস!”
মৃত্যুর কারণ এখনও অজানা
মুকুল দেবের মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। পরিবার বা ঘনিষ্ঠদের তরফ থেকে কোনো বিবৃতি না এলেও, জানা গেছে যে তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। তার ভাই, প্রয়াত অভিনেতা রাহুল দেবের মতোই মুকুলও বলিউডে নিজের একটি স্বতন্ত্র অবস্থান তৈরি করেছিলেন।
এক বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী
মুকুল দেব শুধু হিন্দি সিনেমাতেই নয়, বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষার চলচ্চিত্রেও কাজ করেছেন। তার অভিনয় জীবনের শুরু হয় ১৯৯৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘দস্তক’ ছবির মাধ্যমে, যেখানে তিনি একজন পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। এই ছবির মাধ্যমে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন সুস্মিতা সেনও।
তার উল্লেখযোগ্য কাজগুলির মধ্যে রয়েছে সালমান খানের সঙ্গে ‘জয় হো’, বাংলা ছবি ‘আওয়ারা’, ‘বচ্চন’ এবং ‘সুলতান: দ্য স্যাভিয়ার’। এছাড়াও তিনি মালয়ালম, গুজরাতি, পাঞ্জাবি, মারাঠি ও ইংরেজি সিনেমায় কাজ করেছেন।
টেলিভিশন জগতেও তার অবদান কম নয়। ‘ঘরওয়ালি উপরওয়ালি’, ‘কাহানি ঘর ঘর কী’-র মতো জনপ্রিয় ধারাবাহিকে তার অভিনয় দর্শকদের মনে দাগ কেটেছিল।
শিল্পীজগতে শোকের ছায়া
মুকুল দেবের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন তার সহশিল্পী ও ভক্তরা। সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই তার স্মৃতিকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। তার অভিনয় দক্ষতা, আন্তরিকতা এবং বন্ধুত্বপূর্ণ স্বভাব সবাইকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল।
উপসংহার
মুকুল দেবের মতো বহুমাত্রিক শিল্পীর প্রয়াণ শুধু বলিউড বা টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিকেই নয়, সমগ্র ভারতীয় শিল্পজগতকে এক অপূরণীয় ক্ষতির মুখে ফেলেছে। তার অবদান এবং স্মৃতি চিরকাল দর্শক ও শিল্পী সমাজের মনে অম্লান থাকবে।
আরও পড়ুন: নুসরাত ফারিয়াকে কারাগারে প্রেরণ: আদালতে কী ঘটল?
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি, আনন্দবাজার পত্রিকা, এবং অন্যান্য সংবাদ মাধ্যম।