সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দেলোয়ার হোসেন নামের এই ব্যক্তিকে গতকাল সোমবার (৭ জুলাই) বিকেলে সাতক্ষীরা বাইপাস সড়কের বকচরা এলাকা থেকে র্যাবের সহায়তায় আটক করা হয়।
ঘটনার বিবরণ
গত ১৭ মে রাতে সদর উপজেলার পায়রাডাঙা গ্রামের একটি মুরগি ও মাছের খামারে একদল সশস্ত্র দুর্বৃত্ত হামলা চালায়। তারা খামারের কর্মচারীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত ও মুখ বেঁধে ফেলে। এরপর তার পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নির্মমভাবে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। এ সময় তারা বাড়ি থেকে টাকা ও সোনার গহনাও লুট করে নিয়ে যায়।
মামলা ও তদন্ত
পরদিন (১৮ মে) ভুক্তভোগী নারী সাতক্ষীরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০৩ এবং দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক শরিফুল ইসলাম জানান, ইতিমধ্যে মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে তাদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামির পরিচয়
দেলোয়ার হোসেন সদর উপজেলার পায়রাডাঙা গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে। তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে। তবে সাতক্ষীরা আদালতের পুলিশের উপপরিদর্শক বিশ্বজিৎ রায় জানান, মামলার নথি বর্তমানে জজ কোর্টে থাকায় রিমান্ড শুনানির তারিখ এখনো নির্ধারণ করা যায়নি।
জনসাধারণের প্রতিক্রিয়া
এ ধরনের নৃশংস ঘটনায় স্থানীয় জনগণ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা দ্রুত অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে তদন্ত ত্বরান্বিত করা হয়েছে।
শেষ কথা
নারী ও শিশু নির্যাতনের মতো জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। আশা করা যায়, দোষীদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা হবে।
আরও পড়ুন: ভোলার তজুমদ্দিনে আবারও নারী নির্যাতন: বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ