লক্ষ্মীপুরে এক ভয়াবহ ডাকাতি ও ধর্ষণ এর ঘটনায় দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত এক দল অপরাধী একটি পরিবারের ওপর হামলা চালিয়ে টাকা-গয়না লুট করার পাশাপাশি এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
ডাকাতি ও ধর্ষণ (ঘটনার বিবরণ)
গত শনিবার গভীর রাতে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার একটি বাড়িতে ৬ সদস্যের ডাকাত দল প্রবেশ করে। অপরাধীরা গৃহকর্তাকে হাত-পা বেঁধে ফেলে এবং বাড়ির নারী সদস্যকে ধর্ষণ করে। এ সময় তারা বাড়ির নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়।
ঘটনার সময় পরিবারের সদস্যদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন সাড়া দিলেও অপরাধীরা দেশীয় অস্ত্র দেখিয়ে সকলকে ভয়ভীত করে। তবে ঘটনাস্থল থেকে পালানোর সময় দুজন অপরাধীকে পরিবারের সদস্যরা চিনতে পারেন।
মামলা ও গ্রেপ্তার
ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর স্বামী রোববার রাতে স্থানীয় সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ২ জনের নাম উল্লেখ করে বাকি ৪ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
পুলিশ গতকাল রোববার রাতে সদর থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই প্রধান সন্দেহভাজন মো. সোহেল (২৪) ও নুর করিম (২৬)-কে গ্রেপ্তার করে। আজ সোমবার তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তদন্তের অগ্রগতি
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক ঝলক মোহন্ত জানান, “গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষণের সত্যতা পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”
এলাকাবাসীর প্রতিক্রিয়া
এ ঘটনায় স্থানীয়রা আতঙ্কিত। অনেকেই রাতের বেলা বাড়িতে একা থাকতে ভয় পাচ্ছেন। স্থানীয় যুব সমাজ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা দ্রুত অপরাধীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
শেষ কথা
এ ধরনের নৃশংস অপরাধ সমাজের জন্য একটি কালো пятно। আশা করা যায়, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত বাকি অপরাধীদেরও গ্রেপ্তার করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে।
সতর্কতা: এই ধরনের ডাকাতি ও ধর্ষণ এর মতো ঘটনা থেকে সুরক্ষিত থাকতে বাড়ির নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করুন এবং সন্দেহজনক কোনো গতিবিধি দেখলে অবিলম্বে স্থানীয় থানায় জানান।
আরও পড়ুন: আম খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে ৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণ