বগুড়ার ধুনট উপজেলায় এক মর্মান্তিক ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে রোষ ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এক অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশু কন্যাকে ধর্ষণ করার চেষ্টার অভিযোগে মানিক মিয়া (৩২) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি শুক্রবার (২ মে) সকালে ঘটে, এবং রাতেই অভিযুক্তকে আটক করা হয়।
ঘটনার বিবরণ
ঘটনাস্থল ধুনট উপজেলার গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের পারনাটাবাড়ী গ্রাম। জানা গেছে, আট বছর বয়সী এক শিশু মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির ছাত্রী। শুক্রবার সকালে সে তার নানার বাড়ি থেকে নিজ বাড়ি ফিরছিল। পথে অভিযুক্ত মানিক মিয়া তাকে খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে নিজের ঘরে নিয়ে যায়। এরপর জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।
শিশুটির চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এলে মানিক মিয়া দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে শিশুটির মা স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ দ্রুত তদন্ত শুরু করে এবং রাতের মধ্যেই মানিক মিয়াকে গ্রেফতার করে।
অভিযুক্তের গ্রেফতার ও আইনি প্রক্রিয়া
ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম জানান, অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার স্বীকারোক্তি মিলেছে। শনিবার (৩ মে) তাকে আদালতে হাজির করা হয়, যেখান থেকে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ এবং দ্রুত বিচার চাইছেন। অনেকেই শিশুটির নিরাপত্তা ও মানসিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
সমাজে শিশু নির্যাতন: একটি ভয়াবহ বাস্তবতা
শিশু ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে গ্রামীণ অঞ্চলে অনেক সময় অপরাধীরা পার পেয়ে যায়। তবে এই ঘটনায় পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপ প্রশংসনীয়।
শিশুদের সুরক্ষায় সচেতনতা জরুরি:
শিশুদের একা চলাফেরা করতে না দেওয়া।
পরিবার ও শিক্ষকদের উচিত শিশুদের সাথে খোলামেলা আলোচনা করা, যাতে তারা বিপদে সাহায্য চাইতে পারে।
সমাজের সকল স্তরে শিশু অধিকার নিয়ে সচেতনতা বাড়ানো।
শেষ কথা
এই ঘটনা আমাদের আবারও মনে করিয়ে দিল যে, শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সকলে এগিয়ে আসতে হবে। আইনের কঠোর প্রয়োগ এবং সামাজিক সচেতনতা বাড়ানোই পারে এমন ঘটনা প্রতিরোধ করতে।
আরও পড়ুন: চকলেটের প্রলোভনে শিশু ধর্ষণ: নিষ্ঠুরতার শিকার এক কোমল প্রাণ
আপনার কি কোনো মতামত আছে? নিচে কমেন্টে জানাতে পারেন। শিশু সুরক্ষায় আমরা সবাই একসাথে কাজ করব—এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।