ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে এক মর্মান্তিক ঘটনায় স্কুলে পরীক্ষা দিতে যাওয়া এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তার চাচা ও এক সহযোগীর বিরুদ্ধে। পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনাটি স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দার জন্ম দিয়েছে।
ঘটনার বিবরণ
গত ২৫ জুন ঈশ্বরগঞ্জের জাটিয়া ইউনিয়নের কুমারুলী গ্রামের এক ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী (ভাতিজি) স্কুলের অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিল। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিদ্যালয়ের কাছে পৌঁছালে কাউসার মিয়া (২৪) নামের এক যুবক তাকে জোর করে একটি ইজিবাইকে তুলে নেয়। কিছুদূর যাওয়ার পর চাচা হুমায়ূন (৩০) একই গাড়িতে যোগ দেয়।
এরপর তারা শিশুটিকে উচাখিলা ইউনিয়নের মরিচারচর চৌরাস্তার একটি দোকানঘরে নিয়ে যায়। সেখানে চাচা ও তার সহযোগী পালাক্রমে তাকে নির্মমভাবে ধর্ষণ করে। বিকেলে একটি অজ্ঞাত ইজিবাইকে করে শিশুটিকে তার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়।
অভিযোগ দায়ের ও গ্রেপ্তার
ঘটনার দুই দিন পর, ২৭ জুন রাতে মেয়েটির বাবা স্থানীয় ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালিয়ে হুমায়ূন ও কাউসারকে গ্রেপ্তার করে। থানার অফিসার ইনচার্জ ওবায়দুর রহমান জানান, প্রাথমিক তদন্ত শেষে মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে এবং অভিযুক্তদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
সমাজের নৃশংস রূপ ও আইনের কঠোর প্রয়োজন
এ ধরনের ঘটনা শুধু একটি পরিবারকে ধ্বংস করে না, সমাজের নৈতিক ভিত্তিকেও প্রশ্নের মুখে ফেলে। শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি। পাশাপাশি, দ্রুত বিচার নিশ্চিত করে অপরাধীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া উচিত, যাতে ভবিষ্যতে কেউ подобinous অপরাধ করতে সাহস না পায়।
সচেতনতা ও প্রতিরোধ
শিশুদের নিরাপদে স্কুলে যাতায়াতের ব্যবস্থা করতে হবে।
পরিবার ও শিক্ষকদের উচিত শিশুদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করা, যাতে তারা বিপদে সাহায্য চাইতে পারে।
সমাজের সকল স্তরে নারী ও শিশু নিরাপত্তা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
শেষ কথা
এই ঘটনা আমাদের সবার জন্য একটি বড় শিক্ষা। শিশুদের প্রতি আমাদের সচেতনতা ও দায়িত্ববোধই পারে তাদের নিরাপদ ভবিষ্যৎ গড়ে দিতে। আশা করা যায়, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা দ্রুত বিচার নিশ্চিত করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবে।
আরও পড়ুন: শ্রীনগরে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা: ৪ জনের প্রাণহানি, আহত ১৫
#শিশু_নিরাপত্তা #ধর্ষণ_বিরোধী_আন্দোলন #ময়মনসিংহ_ঘটনা